Written By,
Biswajit Debnath
Assistant Secretary
Foreign Ministry
★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★
All Subjects and also tips and tricks: Just follow fully
মোট 200 মার্কের পরীক্ষা। সম্পূর্ণ সিলেবাস পড়া যাবে না। আপনাকে 150 নম্বর এর প্রিপারেশন নিতে হবে। টার্গেট রাখতে হবে 120। 50 নম্বর আগে থেকেই বাদ দিবেন। যে টপিকগুলো পড়তে অনেক সময় নেয় এবং অনেক কঠিন বলে মনে হয় আপনার কাছে সেগুলো বাদ দিয়ে পড়ুন।
প্রশ্নগুলো কে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। 60 থেকে 70 টি প্রশ্ন অনেক সহজ দিবে। যাদের বেসিক ভালো তারা এগুলো সবই পারবেন। 40 থেকে 50 টি কোশ্চেন দিবে যেগুলো একটু কঠিন কিন্তু যারা প্রিপারেশন ভালো করে নিবেন তারা এগুলো পারবেন। বাকি 70 থেকে 80 টি প্রশ্ন অনেক কঠিন দিবে যেগুলো পারা প্রায় অসম্ভব।
তো আপনার প্রথম টার্গেট হল যে 60 থেকে 70 টি প্রশ্ন সহজ দিবে সেগুলো যেন ভুল না হয়। এর জন্য খুব অল্প পরিমাণ পড়লেই হয়। ঠিক প্রতিটি বিষয়ের বেসিক গুলো। আমি পরবর্তীতে প্রতিটি বিষয়ে বেসিক গুলো বলে দিব।
যে 40 থেকে 50 টি প্রশ্ন একটু কঠিন হবে সেগুলোর জন্য আপনাকে পড়তে হবে।
যে 70 থেকে 80 টি প্রশ্ন অনেক কঠিন হবে সেগুলোর পিছনে না ছোটাই ভালো এবং পরীক্ষার হলে সেগুলো না দাগানোই ভালো।
বিসিএস প্রিলিমিনারীতে দশটি বিষয় বা ভাগ রয়েছে তারমধ্যে তিনটি সাবজেক্ট সবচেয়ে বেশি পড়তে হবে
ইংরেজি 35 নম্বর
বাংলা 35 নম্বর
বাংলাদেশ বিষয়াবলী 30 নম্বর
অর্থাৎ এই তিনটি বিষয়ে 100 নম্বর বাকি সাতটি বিষয়ে 100 নম্বর।
তো শুরু করা যাক ইংরেজি দিয়ে
বিসিএস এর সিলেবাস ইংরেজি কে দুটি ভাগে ভাগ করছে।
১.ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ (২০)
২. ইংলিশ সাহিত্য (১৫)
ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ একটু বেশি করে পড়তে হবে কারণ এটি বিসিএস রিটেন পরীক্ষায় হেল্প করবে। ল্যাঙ্গুয়েজ কে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়:
১. ভোকাবুলারি (৯/১০/১১)
২. গ্রামার (১০/১১/১২)
প্রথমেই বলি ভোকাবুলারি কিভাবে ভালো করতে হবে, কোথা থেকে কমন পাবেন।
ভোকাবুলারিতে সাধারণত নিম্নলিখিত বিষয়গুলো আসে
1. Identification of parts of speech
2. Idioms and phrases
3. Appropriate preposition
4. Spelling
5. Synonym antonym
6. Translation
7. One word substitution
8. Analogy
9. Prefix suffix
এখন বিষয় হলো এগুলো কোথা থেকে কমন পাবেন। আমি এগুলোর জন্য English for competitive exam এই বইয়ের real test পড়ার জন্য সবাইকে বলি। ভোকাবুলারি থেকে যদি 10 টি প্রশ্ন আসে তাহলে এই বই থেকে 7 থেকে 8 টি কমন আসে। তাই ভোকাবুলারির জন্য আলাদা করে অন্য কিছু পড়ার দরকার নেই।
আমি অবশ্য 25 পেইজের একটি শীট পড়েছিলাম যেখান থেকে ভালোই কমন পড়েছিল। তবে আমার মতে উক্ত বইয়ের রিয়াল টেস্ট যথেষ্ট।
কিভাবে পড়বেন:
অনেকেই বলে ভোকাবুলারি যতই পড়ুক না কেন মনে থাকে না।
আমার তাদের জন্য মতামত হলো আপনি প্রতিটি আইটেম সময় ধরে তিন থেকে চারবার শেষ করবেন।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায় উক্ত বইয়ে প্রায় এক হাজারের মতো synonym-antonym আছে। তো আপনি প্রতিদিন এক ঘন্টা করে 100 টি দুই থেকে তিনবার রিডিং পড়বেন। এইভাবে 10 দিনে 1000 টি শেষ হবে। কিন্তু আপনার কিছুই মনে থাকবেনা। পরবর্তীতে 5 থেকে 10 দিন আর synonym-antonym পড়বেন না। তারপর আবার দশ দিন ধরে পরবর্তীতে রিভিশন দিন। এইভাবে তিন থেকে চার বার রিভিশন দেওয়া হলে আপনি পরীক্ষায় অবশ্যই পারবেন। ভোকাবুলারির প্রতিটি আইটেম আপনি এইভাবে তিন থেকে চার বার রিভিশন দিবেন তাহলে পরীক্ষা অবশ্যই পারবেন।
[English Vocabulary (BCS)
ইংরেজি ভোকাবুলারি থেকে সাধারণত 10 থেকে 12 টি প্রশ্ন আসবে।
১. Synonym/antonym: এখন থেকে দুই থেকে তিনটি প্রশ্ন আসবে। এখন কথা হল কিভাবে পড়বেন আর কোথা থেকে আসবে। এর জন্য আপনি ইংলিশ ফর কম্পিটিটিভ এক্সাম বইটি পড়তে পারেন।
এখানে প্রায় 1000 টি ভোকাবুলারি দেওয়া আছে। প্রথমে আপনি 5 দিনে এক ঘন্টা করে 200 টি করে রিডিং পড়ে ফেলুন। ( ৫×২০০=১০০০) অর্থাৎ 5 দিনে আপনার একবার রিডিং পড়া শেষ হয়ে গেল কিন্তু দেখবেন আপনার কোন টি মনে নেই। এইভাবে আবার পাঁচ দিন পর আবার পড়া শুরু করুন আবার পাঁচ দিনে দ্বিতীয় রাউন্ড শেষ করুন। এইভাবে পরবর্তী 10 দিন পর আবার তৃতীয় রাউন্ড শেষ করুন। এইভাবে চার থেকে পাঁচ রাউন্ড যখন শেষ হবে তখন আপনি ভোকাবুলারিতে দক্ষতা অর্জন করবেন।
২. Identification of parts of speech: এখান থেকে দুই থেকে তিনটি প্রশ্ন আসবে। এর জন্য আপনি P C Das এর 2, 27, 28 নম্বর অধ্যায়গুলো পড়ে ফেলুন। তারপর কম্পিটিটিভ এক্সাম বই থেকে এই অধ্যায়টি পড়ে ফেলুন। এই অধ্যায় থেকে বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় কমন আসেন তাই গুরুত্ব সহকারে পড়ুন। আর পড়ার পদ্ধতি উপরুক্ত ভোকাবুলারি মুখস্থ করার মতন পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন।
৩. Appropriate preposition: এখান থেকেও দুই থেকে তিনটি প্রশ্ন আসে। ইংলিশ ফর অনি কম্পেটিতিভ এক্সাম বইটি থেকে পড়ে নিন। প্রায় ৬০০ থেকে 700 রিয়েল টেস্ট দেওয়া আছে। প্রতিদিন 20 মিনিট করে 100 টি শুধু রিডিং পড়ুন দেখবেন 7 দিনে একবার পড়া শেষ কিন্তু আপনি একটিও মনে রাখতে পারবেন না। আবার পাঁচ দিন পর এইভাবে দ্বিতীয়বার শেষ করুন। দশ দিন পর আবার তৃতীয়বার শেষ করুন। এভাবে চার থেকে পাঁচবার শেষ হলে আপনি পরীক্ষা অবশ্যই পারবেন।
৪. Phrase: এখান থেকে এক থেকে দুটি অথবা তিনটি কোশ্চেন আসবে। P C Das এর বই থেকে পড়তে পারেন। অথবা ইংলিশ ফর কম্পেটিতিভ এক্সাম বইয়ের রিয়াল টেস্টগুলো ভালো করে পড়ুন। প্রায় ৬০০ থেকে ৭00 দেওয়া আছে। প্রিপজিশন যেভাবে বলা আছে ঠিক সেইভাবে পড়ুন।
৫. Spelling: এখান থেকে দুটি প্রশ্ন কমন আসবে। ইংলিশ ফর অনি কম্পেটিতিভ এক্সাম বইটি পড়ুন। এখানে রিয়েল টেস্ট প্রায় তিনশটি দেওয়া আছে। প্রতিদিন 15 মিনিট করে 50 টি করে শেষ করুন দেখবেন ছয় দিনে একবার শেষ হয়ে গিয়েছে। এভাবে চার থেকে পাঁচ রাউন্ড শেষ করুন লিখে রেখে পড়ুন
দেখবেন পরীক্ষার হলে পারবেন।
৬. Translation: এখান থেকে দুটি কোশ্চেন আসবে। এজন্য আপনি ঢাকা ইউনিভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষার এডমিশন টেস্টের যেকোনো একটি বইয়ের ট্রান্সলেশনের অংশটুকু ভালো করে দেখুন। ইংলিশ ফর কম্পেটিতিভ এক্সাম বই এর রিয়েল টেস্ট দেখতে পারেন।
7. Prefix /suffix: এখান থেকে পরীক্ষা আসতেও পারে নাও পারে। তবে পি সি দাস এর বই থেকে পড়তে পারেন অথবা ইংলিশ ফর কম্পেটিতিভ এক্সাম বইটা থেকেও দেখতে পারেন।
৮. Analogy: এখান থেকে একটি প্রশ্ন আসবে। কম্পিটিটিভ এক্সাম বইটি পড়ুন। মানসিক দক্ষতার জন্য যে এনালজি অংশটুকু আছে সেটিও একবার দেখে ফেলুন।]
এবার বলি গ্রামার নিয়ে। বিসিএস এর ইংলিশ গ্রামার অনেক সহজ হয় আপনি হাতেগোনা 50 থেকে ৬০ টি নিয়ম নিয়ম পড়লেই পরীক্ষায় কমন আসবে। যাদের বেসিক ভালো তারা এমনিতেই পারবেন। যে আইটেম গুলো থেকে পরীক্ষায় বেশি আসে
Subject verb agreement
Tense
Phrase
Clause
Verb
Correction
Parts of speech
গ্রামারের জন্য বেশি বেশি করে প্র্যাকটিস করতে হবে। গ্রামার একটু চেষ্টা করলেই সাত থেকে আট রাখা যায়। আমি পরবর্তীতে কিছু ইম্পরট্যান্ট গ্রামার এর লিস্ট দেওয়ার চেষ্টা করব।
ইংরেজি সাহিত্য:
ইংরেজি সাহিত্য শুধু ইম্পরট্যান্ট গুলো পড়লেই 9 থেকে 10 টি কমন পাওয়া যায়। আমি সাধারণত 10 থেকে 12 পেইজের একটি শিট দেই যেখান থেকে পরীক্ষায় 9 থেকে 10 টি কমন আসে। আবার নাও আসতে পারে।সবাই কালেক্ট করার চেষ্টা করবেন।
আর যাদের শিট নেই তারা ইংলিশ ফর এনি কম্পেটৈটিভ এক্সাম বইয়ের রিয়েল টেস্ট গুলো ভালো করে পড়ুন। ইংরেজি সাহিত্যের বিখ্যাত কবিদের নাম জেনে তাদের সাহিত্যকর্ম ভালো করে পড়ুন। মনে রাখবেন ইংরেজি সাহিত্য শুধু প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আসবে বিসিএস রিটেন পরীক্ষায় আসবে না বেশি টেনশন করার কোন কারন নেই। প্রশ্ন বেশি কঠিন হলে বাজারের বইগুলো থেকে খুবই কমই কমন পাওয়া যায় তাই শুধু ইম্পরট্যান্ট গুলো পড়ুন।
বিখ্যাত কবি সাহিত্যিক:
1. William Shakespeare
2. William Wordsworth
3. John Keats
4. P. B. Shelley
5. S. T. Coleridge
6. John Milton
7. T. S. Eliot
8. Thomas Hardy
9. Alfred Tennyson
10 Yeats
10. Virginia Woolf
ইংরেজিতে যারা ভালো তারা ইংরেজিতে 32 থেকে 33 নম্বর তুলতে পারবে। কিন্তু যারা ইংরেজিতে দুর্বল তাদের জন্য 18 থেকে 22 পেলেই পিলিমিনারি পাস করা যাবে।
Bangla
বিসিএসে বাংলা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। একটু চেষ্টা করলেই এ বিষয়ে ভালো নম্বর পাওয়া যায়। বাংলার দুটি অংশ রয়েছে। একটি হলো ব্যাকরণ (১৫) অন্যটি হলো সাহিত্য (২০)।
প্রথমেই বলা যাক ব্যাকরণ নিয়ে।
১. সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দ, প্রয়োগ অপপ্রয়োগ, বানান ও বাক্য শুদ্ধি এগুলো থেকে চার থেকে পাঁচটি প্রশ্ন আসবে। এগুলো চাইলে আপনি নবম-দশম শ্রেণীর বাংলা দ্বিতীয় পত্র বই ও সৌমিত্র শেখর স্যারের সাহিত্য জিজ্ঞাসা বই থেকে পড়তে পারেন তাহলে কমন পাবেন। এই বিষয়গুলো থেকে মানসিক দক্ষতায়ও কমন পাবেন।
২. পরিভাষা থেকেও দু একটি প্রশ্ন আসে আপনি এগুলো উচ্চমাধ্যমিক বাংলা দ্বিতীয় পত্রের যে কোন একটি বই থেকে পড়লেই কমন পাওয়া যায়।
৩. এছাড়াও এক কথায় প্রকাশ/ বাগধারা এগুলো নবম-দশম শ্রেণীর বাংলা দ্বিতীয় পত্র বই থেকে পড়তে পারেন।
৪. ধ্বনি, বর্ণ, শব্দ, পদ ও বাক্য এগুলো থেকে তিন থেকে চারটি প্রশ্ন কমন আসে। এগুলো আপনি নবম দশম শ্রেণি বাংলা দ্বিতীয় পত্র ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা বই থেকে পড়তে পারেন। এগুলো বুঝে বুঝে পড়তে হবে আপনি যদি না বুঝে থাকেন তাহলে যারা বাংলা ভালো পারে তাদের কাছ থেকে বুঝে নিবেন দেখবেন বিষয়গুলি অনেক সহজ। অযথা না বুঝে পড়ে সময় নষ্ট না করাই ভালো।
৫। সবার শেষে প্রকৃতি প্রত্যয়, সন্ধি ও সমাস এই তিনটি বিষয়ে পড়বেন এখান থেকে তিন নম্বর কমন পাবেন। এর জন্য নবম দশম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্র ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা বই পড়বেন। তবে না বুঝে পড়বেন না। কারো সাহায্য নিন অথবা এ 3 নম্বর ছেড়ে দিন।
যেকোনো রিটেনের বই থেকে বাংলা দ্বিতীয় পত্র ব্যাকরণের বিগত বছরের প্রশ্ন পড়ে ফেলুন। কাজে দিবে।
এবার আসি বাংলা সাহিত্যে।
বাংলা সাহিত্যে প্রাচীন যুগ ও মধ্যযুগ থেকে 5 নম্বর থাকে। এগুলো একটু ভালো করে পড়বেন কারণ এই 5 এর মধ্যে 5 নম্বর তোলা সম্ভব এর জন্য আপনি সাহিত্য জিজ্ঞাসা ও অন্য যেকোনো একটি গাইড বইয়ের সাহায্য নিতে পারেন। যে টপিকগুলো কঠিন মনে হবে সেগুলো লিখে লিখে পড়ার চেষ্টা করুন। বিগত বছরের বিসিএস রিটেন পরীক্ষার প্রশ্ন গুলি ভালো করে পড়ুন।
বাংলার আধুনিক যুগে জন্য 15 নম্বর দেওয়া হয়েছে। সবার প্রথমেই আপনি বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত 11 জন কবি-সাহিত্যিকদের সাহিত্যকর্ম ভালো করে পড়ে নিবেন।
১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২. কাজী নজরুল ইসলাম
৩. জসীমউদ্দীন
৪. কায়কোবাদ
৫. মীর মশাররফ হোসেন
৬. বেগম রকেয়া সাখাওয়াত হোসেন
৭. দীনবন্ধু মিত্র
৮. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
৯. মাইকেল মধুসূদন দত্ত
১০. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১১. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
তারপর আধুনিক যুগের বাকি সাহিত্যিকদের শিল্পকর্মগুলি পড়বেন।
আপনি বিগত বছরের বিসিএসের রিটেন পরীক্ষার সাহিত্যের প্রশ্নগুলি ভালো করে পড়ে ফেলুন এখান থেকে কমন পাওয়া যায়।
সাহিত্যিকদের বিভিন্ন শিল্পকর্মগুলি মনে রাখার জন্য অনেক টেকনিক রয়েছে এগুলো অনুসরণ করতে পারেন তাহলে দ্রুত মনে থাকবে।
যেমন জীবনানন্দ দাশের কথা ধরা যাক। তার কাব্যগ্রন্থ মনে রাখার জন্য টেকনিক রয়েছে এই টেকনিক আপনি কয়েকবার রিডিং পড়ুন তারপর তার কাব্যগ্রন্থ থেকে যে প্রশ্নগুলি বিগত বছরে এসেছে সেগুলি একটু ভালো করে দেখুন তাহলে কমন পাওয়া যাবে। আমি এইভাবে পড়েছিলাম। আমার কাছে একটি টেকনিকের শিট ছিল। এটি বারবার পড়তাম।
বিসিএস প্রিলিমিনারি উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে বাংলা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তাই বুঝে বুঝে বার বার পড়ুন এবং বাংলার প্রতি সময় দিন। তাহলেই 35 নম্বর এর মধ্যে 25 থেকে 30 নম্বর সহজেই তুলতে পারবেন।
Bangladesh Affairs
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিষয়াবলী অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখানে মোট 30 নম্বর রয়েছে একটু চেষ্টা করলেই 20 থেকে 22 নম্বর তোলা সম্ভব। যারা এই বিষয়ে দুর্বল তারা এই বিষয়ের বেসিক টা ঠিক করে নিবেন। এর জন্য বাজারে নলেজ পাওয়ার নামে একটি বই আছে। এটির 30 নম্বর থেকে 60 নম্বর পৃষ্ঠা পর্যন্ত পড়লেই বেসিক যতগুলো প্রশ্ন আসবে তা কমন পাওয়া যাবে।
এবার টপিক ওয়াইজ বলা যাক:
১. প্রথমেই আপনি বাংলাদেশের কৃষি সম্পদ নামে অধ্যায়টি পড়তে পারেন এখান থেকে পরীক্ষায় 3 নম্বর আসবে।
এর জন্য আপনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষা এবং যেকোনো একটি গাইড বইয়ের সাহায্য নিতে পারেন বিশেষ করে প্রফেসরস প্রকাশনী ভালো লিখেছে। সময় পেলে বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেখতে পারেন।
২. তারপর আপনি বাংলাদেশের জনসংখ্যা এই অধ্যায়টি পড়তে পারেন তিন নম্বর আসবে।
প্রফেসরস প্রকাশনী ভালো লিখেছে। নবম-দশম শ্রেণীর ও অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বই এর জনসংখ্যা ও উপজাতি অধ্যায়টি পড়ে ফেলুন।
৩। তারপর আপনি বাংলাদেশের অর্থনীতি এই অধ্যায়টি পড়তে পারেন তিন নম্বর আসবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষা ও প্রফেসরস প্রকাশনের পড়তে পারেন। সময় পেলে নবম-দশম শ্রেণীর অর্থনীতি বইটি পড়তে পারেন।
৪. তারপর বাংলাদেশর শিল্প ও বানিজ্য এই অধ্যায়টি পড়তে পারেন এখান থেকে 3 নম্বর আসবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষা ও প্রফেসর্স প্রকাশনী পড়তে পারেন। বাংলাদেশের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইটটি দেখতে পারেন।
৫। তারপর আপনি বাংলাদেশের সংবিধান, বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক দল এই তিনটি অধ্যায়ে পড়তে পারেন। এখান থেকে মোট 9 নম্বর আসবে।
এর জন্য আপনি বাংলাদেশের সংবিধানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ ভালো করে পড়ুন এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর পৌরনীতি প্রথম পত্র ও দ্বিতীয় পত্র বইটি থেকে সংবিধান, আইন বিভাগ শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগ, রাজনৈতিক দল পড়তে পারেন।
সংবিধানের এক নম্বর থেকে 47 নম্বর অনুচ্ছেদ ভালো করে পড়ুন। এছাড়াও বিগত বছরের সংবিধান থেকে যে রিটেনের প্রশ্ন গুলো এসেছে তা একবার রিডিং পড়তে পারেন বিশেষ করে টীকা গুলি।
৬. তারপর আপনি বাংলাদেশের জাতীয় বিষয়াবলী পড়তে পারেন এখানে 6 নম্বর দেওয়া আছে। আপনি বিশেষ করে সম্পূর্ণ ইতিহাস না পড়ে 1952 সালের পর থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত ভাল করে পড়ুন।
এর জন্য আপনি নবম-দশম শ্রেণীর ইতিহাস বইটি ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ভালো করে পড়তে পারেন। মুক্তিযুদ্ধ থেকে বিগত বছরে রিটেন পরীক্ষায় যে প্রশ্নগুলি এসেছে সেগুলো দেখতে পারেন। সময় পেলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটটি দেখতে পারেন।
৭। তারপর আপনি বাংলাদেশের জাতীয় অর্জন এই অধ্যায়টি পড়তে পারেন এখান থেকে তিন নম্বর আসবে যে কোন গাইড বই থেকে পড়লেই হবে।
এছাড়াও বাংলাদেশ বিষয়াবলীর জন্য প্রফেসরস বিশেষ সংখ্যা পড়তে পারেন।
নম্বর দেখে সময় ধরে পড়ার চেষ্টা করবেন। দেখবেন কম নম্বরের প্রতি যেন বেশি সময় দেওয়ানা হয়।
সংখ্যা, সাল ইত্যাদি কম পরবেন।
International Affairs
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীর জন্য 20 নম্বর দেওয়া হয়েছে। মোটামুটি পড়াশোনা করলেই 10 থেকে 12 নম্বর সহজে তোলা যায়।
বেসিক ঠিক করার জন্য নলেজ পাওয়ার বইয়ের আন্তর্জাতিক অংশটুকু পড়ে নিন। অথবা রবি বুক থেকে আন্তর্জাতিক অংশটুকু পড়ে নিন। এখানে খুব বেশি নেই 10 থেকে 15 পৃষ্ঠা হতে পারে।
এছাড়াও আব্দুল হাই স্যারের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সংগঠন ও পররাষ্ট্রনীতি এই বইয়ের টীকা গুলি ভালো করে পড়ে ফেলুন।
তারপর টপিক ওয়াইজ ধরা যাক।
১. প্রথমেই আপনি আন্তর্জাতিক পরিবেশ ও কূটনীতি এই অধ্যায়টি পড়তে পারেন। এর জন্য চার নম্বর দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভূগোলেও দুই নম্বর বরাদ্দ আছে।
আপনি এটির জন্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষা বইটি থেকে পরিবেশের অধ্যায়টি পড়ে ফেলুন। তারপর অ্যাসুরেন্স ডাইজেস্ট বই থেকে এই অধ্যায়টি দেখতে পারেন।
২। তারপর আপনি আন্তর্জাতিক সংগঠন ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান এই অধ্যায়টি পড়তে পারেন এর জন্য চার নম্বর। উল্লেখযোগ্য সংস্থা যেমন ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, আইএমএফ, WTO,ADB,AIIB,NDB,EU,SAARC, BIMSTEC, OIC,EU,ASEAN,G7,D8 ভালো করে পড়ে ফেলুন। অ্যাসুরেন্স ডাইজেস্ট থেকে দেখতে পারেন।
৩। তারপর আপনি বিশ্বের সাম্প্রতিক ও চলমান ঘটনা সমূহ এই অধ্যায়টি দেখতে পারেন এর জন্য 4 নম্বর দেওয়া হয়েছে। আমরা অনেকেই প্রতিদিন পেপার পত্রিকা পড়ে থাকি সাম্প্রতিক বিষয় ভালো করার জন্য। কিন্তু আমার মতে প্রতিদিন এক ঘন্টা করে পেপার পত্রিকা বা নিউজ দেখে সময় অপচয় না করাই ভালো। ভিন্ন মতামত থাকতে পারে। আপনি পরীক্ষার এক মাস পূর্বে নীলক্ষেত বা বাংলাবাজার থেকে সাম্প্রতিক বিষয়গুলির উপর 30 থেকে 40 পৃষ্ঠার একটি শীট কিনে পড়লেই কমন পাওয়া যায়।
৪। তারপর আপনি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নামক এই অধ্যায়টি পড়তে পারেন এর জন্য 4 নম্বর দেওয়া হয়েছে। এটি তুলনামূলক একটি বড় অধ্যায় তাই সবার শেষে পড়ার চেষ্টা করুন। এই অংশের জন্য আব্দুল হাই স্যারের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সংগঠন ও পররাষ্ট্রনীতি এই বইয়ের টীকা গুলি পড়ে ফেলুন।
৫। সর্বশেষে বৈশ্বিক ইতিহাস নামক অধ্যায়টি পড়ে ফেলুন। এর জন্য 4 নম্বর দেওয়া হয়েছে। একটি তুলনামূলক বড় একটি অধ্যায়ে তো শেষ করতে অনেক সময় নেবে। অ্যাসুরেন্স ডাইজেস্ট বই থেকে এই অধ্যায় দেখতে পারেন।
সময় পেলে বিশ্ব রাজনীতির 100 বছর, তারেক শামসুর রেহমান এই বইটি একবার রিডিং পড়ুন।
গাণিতিক যুক্তি বিসিএসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এর পূর্ণমান 15। রিটেন পরীক্ষায় গাণিতিক যুক্তি থাকে 50 নম্বর থাকবে।
যারা গণিতে একেবারেই দুর্বল তারা গণিত বাদ দিয়ে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবেন কিন্তু সমস্যা হবে রিটেন পরীক্ষায়।
তাই যে টপিক গুলো আপনি নবম দশম শ্রেণীতে অনুশীলন করেছিলেন সেই গুলি করার চেষ্টা করুন। প্রথমে টার্গেট করুন কোন অধ্যায় গুলো আপনি করবেন আর কোন অধ্যায়গুলি বাদ দিবেন। সব অধ্যায়গুলি করতে গিয়ে লক্ষ্য রাখবেন অন্য সাবজেক্ট এর সহজ বিষয় গুলি যেন বাদ না পড়ে যায় যেখান থেকে আপনি বেশি নম্বর তুলতে পারতেন।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য গণিতে মোটামুটি 8 থেকে 10 নম্বর পেতে হলে শুধু বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বিগত বৎসর যে প্রশ্নগুলো এসেছিল সেই গুলি ভালো করে সমাধান করতে হবে। এখানে বলে রাখি নিয়ম কমন পড়বে কিন্তু প্রশ্ন হুবহু কমন পড়বে না।
এর পাশাপাশি আপনি নবম-দশম শ্রেণীর গণিত বই থেকে অনুশীলন করতে পারেন।
যারা গণিতে একেবারেই দুর্বল তারা প্রতিটি অধ্যায়ের জন্য কিছু সূত্রাবলী ও শর্টকাট মেথড ভালো করে মুখস্থ করে ফেলুন।
আপনার বন্ধু বান্ধব যারা বিশেষ করে যারা গণিতে ভালো তাদের সহযোগিতা নিন। আপনি নিজে যেটা বুঝবেন না সেটি নিজে নিজে চেষ্টা না করাই ভালো এতে করে সময়ের অপচয় হবে তাই যেগুলি বুঝেন সেগুলি ভালো করে করুন।
অন্যদিকে গণিতে যারা ভালো তারা একটু চেষ্টা করলেই এখান থেকে 14-15 নম্বর পাওয়া যাবে।
এবার টপিক ওয়াইজ বলা যাক।
১. প্রথমেই আপনি সূচক লগারিদম, সমান্তর ও গুণোত্তর অনুক্রম ও ধারা এই অধ্যায়টি করতে পারেন। এর জন্য তিন নম্বর দেওয়া হয়েছে। এখান থেকে মানসিক দক্ষতা দুই থেকে তিন নম্বর কমন পাবেন। আপনি নবম-দশম শ্রেণীর গণিত বইটি থেকে অনুশীলন করে ফেলুন। এছাড়া বাজারের যে কোন গাইড বই থেকে যেখানে শর্টকাট এবং ডিটেইলস উভয় দেখা দেওয়া আছে অনুশীলন করতে পারেন। আমি শাহিনস ম্যাথ নামে একটি বই থেকে অনুশীলন করেছিলাম। প্রথমে সূত্রগুলো বুঝুন তারপর মুখস্ত করুন তারপর ভালো করে অনুশীলন করুন।
২. তারপর আপনি বীজগাণিতিক সূত্রাবলী, উৎপাদক, সমীকরণ, অসমতা এই অধ্যায়টি করতে পারেন। এখান থেকে তিন নম্বর আসবে। এর জন্য আপনি নবম দশম শ্রেণীর বোর্ডের বই ও যে কোন একটি গাইড বই অনুসরণ করতে পারেন। সূত্রগুলো ভালো করে বুঝুন তারপর একসাথে লিখে রাখুন মুখস্ত করুন তারপর অনুশীলন করুন।
৩. তারপর আপনি জ্যামিতির অধ্যায়টি করতে পারেন। এখানেও তিন নম্বর দেওয়া হয়েছে। এখান থেকে ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, পিথাগোরাসের সূত্র ভাল করে শিখে রাখুন।এক্ষেত্রে ভালো একটি গাইড বই অনুসরণ করুন।
৪. তারপর পাটিগণিতের অধ্যায়টি অনুসরণ করুন। এখানে তিন নম্বর দেওয়া হয়েছে। এখান থেকে শতকরা, লাভ ক্ষতি, মুনাফা ও অনুপাত সমানুপাত এই অধ্যায়গুলি ভালো করে করুন এখান থেকে রিটেন পরীক্ষায় কমন আসে। এটি একটি বড় অধ্যায় তাই সবার শেষে করার চেষ্টা করুন।অষ্টম, নবম দশম শ্রেণীর বোর্ডের বই থেকে অনুশীলন করতে পারেন। পাশাপাশি অনুশীলন করুন।
৫। সর্বশেষ আপনি সেট, বিন্যাস সমাবেশ, পরিসংখ্যান ও সম্ভাব্যতা এই অধ্যায়টি করুন। এখানেও তিন নম্বর দেওয়া হয়েছে। এটি তুলনামূলকভাবে একটু কঠিন অধ্যায় তাই শেষে করুন। তবে সেটের অধ্যায়টি আপনি নবম-দশম শ্রেণীতে করেছেন তাই এটি সবার পূর্বে করুন। এই অধ্যায়ের জন্য নবম-দশম শ্রেণীর উচ্চতর গণিত বইটি অনুসরণ করতে পারেন। পাশাপাশি একটি গাইড বই অনুসরণ করুন এবং কারো সহযোগিতা নিন। বিশেষ করে ইউটিউব এ কমবেশি প্রতিটি অধ্যায়ের ক্লাস লেকচার আছে সেগুলো দেখতে পারেন কিন্তু এটি সময় সাপেক্ষ বিষয় তাই আপনি বাকি বিষয়গুলি ভালো করে শেষ করে এটি অনুসরণ করুন।
মানসিক দক্ষতা বিসিএস এর জন্য তুলনামূলকভাবে একটি সহজ বিষয়। এর জন্য 15 নম্বর দেওয়া হয়েছে। একটু চেষ্টা করলেই 10 থেকে 12 নম্বর তোলা যায়।
বিগত বছরে বিসিএস রিটেন পরীক্ষায় মানসিক দক্ষতা যে প্রশ্নগুলো এসেছিল তা ভালো করে সমাধান করুন এগুলো থেকে 5 থেকে 6 টি কমন পাওয়া যায়।
টপিক ওয়াইজ বলা যাক
১. প্রথমেই আছে ভাষাগত যৌক্তিক বিচার। আপনি ইংরেজি ও বাংলা বিষয়ে যে সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দ, completing sentence (word based), proverbs, analogy পড়েছেন তা এখানে কাজে দিবে।
এই অংশের জন্য আপনি প্রফেসরস মানসিক দক্ষতা অংশটুকু দেখতে পারেন।
২. তারপর আপনি সমস্যা সমাধান নামক অধ্যায়টি দেখতে পারেন। বিগত বছরের রিটেনের প্রশ্নগুলো এই অংশের জন্য খুব দরকার। প্রফেসরস বই দেখতে পারেন।
৩. তারপর রয়েছে বানান ও ভাষা। এটিও আপনি ইংরেজি ও বাংলা বিষয় যে স্পেলিং বা বানান, শুদ্ধিকরণ, প্রয়োগ অপপ্রয়োগ, প্রবাদ বাক্য পড়েছিলেন এখানে তো কাজে দিবে। তাই বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের জন্য যে বইগুলো পড়ে ছিলেন তা আবার রিভিশন দিন।
৪. তারপর হয়েছে যান্ত্রিক দক্ষতা। এই অধ্যায়টি আপনি ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিতে পারেন। এছাড়াও শাহিনস মানসিক দক্ষতা নামে একটি বই আছে সেখান থেকে দেখতে পারেন এখানে প্রতিটি প্রশ্নের ডিটেইলস বর্ণনা করা আছে। না বুঝলে কারো সাহায্য নিন।
৫। তারপর আপনি স্থানংঙ্ক সম্পর্ক ও সংখ্যাগত ক্ষমতা এই দুটি অধ্যায় দেখতে পারেন। এটি গাণিতিক যুক্তি সাথে সম্পর্কযুক্ত। বিশেষ করে ধারার অধ্যায়গুলো ভালো করে করার চেষ্টা করুন। এর জন্য আপনি শাহিনস মানসিক দক্ষতা বইটি অনুসরণ করতে পারেন।
স্থানাঙ্ক, যান্ত্রিক দক্ষতা ও সংখ্যাগত ক্ষমতা যারা না বুঝেন তারা অবশ্যই কারো সাহায্য নিন। আমি আমার বন্ধুবান্ধবদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়েছিলাম এবং বিষয়গুলো খুব সহজ ছিল একটু বুঝলেই পারবেন। কিন্তু না বুঝে সময় নষ্ট না করাই ভালো।
ঘড়ির কাটার সময় নির্ণয়, কোন চাকা টি আগে ঘুরে, আয়নায় সময় ও বাস্তব সময়, ডানে তারপর বামে ঘুরে দাঁড়ানোর পর বর্তমান দূরত্ব, ত্রিভুজের সংখ্যা নির্ণয়, প্রবলেম প্যাটার্ন নির্ণয়, কে লম্বা আবার কে খাটো, ক্যালেন্ডারের সময় নির্ণয়, দিন নির্ণয়, বার নির্ণয় ইত্যাদির সূত্র বা শর্টকাট টেকনিক রয়েছে আপনি না জানলে যারা জানে তাদের সাহায্য নিন দেখবেন বিষয়গুলি অনেক সহজ।
একটু চেষ্টা করলেই মানসিক দক্ষতা প্রচুর নম্বর তোলা যায়। বিশেষ করে যারা গাণিতিক যুক্তি তে দুর্বল তারা মানসিক দক্ষতা নম্বর তুলুন কারণ গণিতের চেয়ে মানসিক দক্ষতা তুলনামূলকভাবে সহজ।
ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা(১০)
এখান থেকে একটু পড়াশোনা করলে ছয় থেকে সাত নম্বর তোলা যায়। টপিক ওয়াইজ বলা যাক।
১. প্রথমেই আপনি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা এই অধ্যায়টি পড়তে পারেন এখানে রয়েছে দুই নম্বর। এর জন্য নবম দশম শ্রেণীর ভূগোল বই এর 15 নম্বর অধ্যায়টি পড়তে পারেন অথবা যে কোন বোর্ডের বইয়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা অধ্যায়টি পড়ে ফেলুন। বাজারের গাইড বই হিসেবে প্রফেসরস দেখতে পারেন।
২। তারপর আপনি বাংলাদেশের পরিবেশ : প্রকৃতি ও সম্পদ, প্রধান চ্যালেঞ্জসমূহ নামক অধ্যায়টি পড়তে পারেন। এখানেও দুই নম্বর দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষা পরিবেশ নামক অধ্যায়টি পড়ে ফেলুন।
৩। তারপর আপনি বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক পরিবেশ পরিবর্তন : আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ামক সমূহ নামক অধ্যায়টি পড়ে ফেলুন। এখনো দুই নম্বর দেওয়া হয়েছে। এর জন্য আপনি নবম-দশম শ্রেণীর ভূগোল বইটির সহযোগিতা নিন। গাইড বই হিসেবে প্রফেসরস দেখতে পারেন।
৪। তারপর আপনি বাংলাদেশ ও অঞ্চল ভিত্তিক ভৌগোলিক অবস্থান, সীমানা, পারিবেশিক, আর্থসামাজিক ও ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব এই অধ্যায়টি পড়তে পারেন। এখানে দুই নম্বর দেওয়া হয়েছে। এটি নলেজ পাওয়ার থেকে পড়তে পারেন। গাইড বই হিসেবে প্রফেসর যেতে পারেন।
৫। সবার শেষে অঞ্চলভিত্তিক ভৌত পরিবেশ, সম্পদের বন্টন ও গুরুত্ব পড়তে পারেন। এখানে দুই নম্বর দেওয়া হয়েছে। একটি তুলনামূলক একটি বড় অধ্যায় তাই সবার শেষে পর চেষ্টা করুন। মাধ্যমিক ভূগোল বইয়ের সহযোগিতা নিতে পারেন। গাইড বই হিসেবে প্রফেসরস দেখতে পারেন।
প্রতিটি অধ্যায়ের জন্যই সিলেবাস ভালো করে দেখে যে অধ্যায়গুলোর মিল আছে সেইগুলো গাইড বই বা বোর্ডের বই থেকে পড়বেন। কোন বই সম্পূর্ণ পড়ার দরকার নেই। গাইড বই তে সিলেবাসের বাইরে অনেক অধ্যায়ে থাকে সেগুলো পড়ার দরকার নেই।
প্রিলিমিনারি তে ভালো করতে হলে:
১. ভালো করে mcq পড়তে হবে। পরীক্ষায় 120 নম্বর তুলতে হবে 200 নম্বরের মধ্যে। কিভাবে??
প্রথমে নির্ণয় করুন আপনি কোন বিষয়ে কম পারেন।
তারপর নির্ণয় করুন আপনি কোন বিষয় খুব ভালো পারেন।
যে বিষয়গুলোতে আপনি ভালো পারেন সেগুলোতে প্রথমে ভালো করে পড়ুন এবং বেশি করে নম্বর তুলুন।
পরবর্তীতে যে বিষয়গুলোতে আপনি দুর্বল সেখান থেকে গড় মার্কস তোলার চেষ্টা করুন।
২. মডেল টেস্ট দিতে পারেন। যে বইতে নম্বর অনুযায়ী মডেল টেস্ট ভাগ ভাগ করে দেওয়া আছে এরূপ একটি বই কিনে আপনি প্রতিদিন 15 থেকে 20 নম্বরের মডেল টেস্ট দিন। যেমন ধরুন বাংলায় প্রাচীন যুগ এবং মধ্যযুগ 5 নম্বর আছে। প্রথমে একাধিক বই থেকে এই পাঁচ নম্বর শেষ করে তারপর শুধু এই পাঁচ নম্বরের উপর মডেল টেস্ট দিন। যখন ভুল হবে তখন ওই অংশটুকু আবার পড়ুন। ধরুন চর্যাপদ থেকে একটি ভুল করলেন তখন আপনার কাজ হবে চর্যাপদের অংশটুকু আবার একবার রিভিশন দেওয়া।
৩. পড়তে গিয়ে যে mcq গুলো অনেক কঠিন মনে হবে সেগুলোর উত্তর খাতায় কলাম করে একের পর এক লিখে রাখুন। প্রশ্ন লেখার দরকার নেই। শুধু উত্তরগুলো দুই তিন দিন পর দেখুন এবং মনে করার চেষ্টা করুন এই উত্তরগুলো কোন প্রশ্নের। তখন যদি আপনি মনে করতে পারেন তাহলে পরীক্ষার হলে অবশ্যই পারবেন।
৪. যে বিষয়গুলো আপনার কাছে অনেক কঠিন মনে হয় সেগুলোর জন্য অবশ্যই অন্য কারো সাহায্য নিন। নিজে নিজে করতে গিয়ে বা শিখতে গিয়ে অনেক সময় নষ্ট না করাই ভালো।
৫. প্রথমে বিসিএস এর বিগত বছরের প্রশ্ন এবং পিএসসির বিগত বছরের যতগুলো প্রশ্ন আছে দ্রুত শেষ করে ফেলুন কারণ প্রশ্ন সহজ হলে এগুলো থেকে হুবহু কমন পাওয়া যাবে। আর এর জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে ছয় দিন যথেষ্ট।
৬. বিজ্ঞানের জন্য নবম-দশম শ্রেণীর সাধারণ বিজ্ঞান বইটি ও অ্যাসুরেন্স ডাইজেস্ট এর বিজ্ঞানের অংশটুকু দেখুন এর জন্য তিন থেকে চারদিন যথেষ্ট। কম্পিউটারের জন্য ইজি কম্পিউটার দেখুন। 4 থেকে 5 দিন যথেষ্ট শেষ করার জন্য। মানসিক দক্ষতার জন্য বিগত বছরের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নগুলো ভালো করে সমাধান করুন এর জন্য দুই দিন যথেষ্ট। ম্যাথ এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ নিয়মগুলো ও সূত্রগুলো মুখস্ত করে ভালো করে প্র্যাকটিস করুন এবং বিগত বছরের প্রশ্নগুলি ভালো করে দেখুন এর জন্য দুই থেকে তিনদিন যথেষ্ট।
৭. বাংলাদেশ বিষয়াবলী ও ভূগোল এর জন্য প্রফেসরস বইটি দেখুন। ছয় থেকে সাত দিনের মধ্যে শেষ করে ফেলুন। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীর ও নৈতিকতার জন্য অ্যাসুরান্স ডাইজেস্ট বইয়ের অংশটুকু পড়ুন দুই থেকে তিন দিন এই যথেষ্ট। সাথে নলেজ পাওয়ার বইটি পড়ুন এই অংশের জন্য।
৮. বাংলার জন্য mp3/সাহিত্য জিজ্ঞাসা বইটি ভালো করে পড়ুন ছয় থেকে সাত দিন ধরে।
৯. ইংরেজির জন্য ইংলিশ ফর কম্পেটিতিভ এক্সাম বইটি দেখতে পারেন। এই বইয়ের রিয়েল টেস্ট ভালো করে সমাধান করুন ছয় থেকে সাত দিন ধরে।
১০. প্রফেসরস এর বিশেষ সংখ্যা, সম্প্রতিক এর শীট বিগত 6 থেকে 7 মাসের 30 থেকে 40 পৃষ্ঠা এর মধ্যে পড়ুন। ভালো করে বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী ম্যাপ দেখুন। বিশেষ করে আপনি এতদিন ধরে যা পড়েছেন তা ভালো করে রিভিশন দিন। আমরা অনেছি পরীক্ষার পূর্বে রিভিশন দেই না ফলশ্রুতিতে অনেক পূর্বে যা পড়েছে তা ভুলে যায় তাই ভালো করে রিভিশন দিন।
0 comments:
Post a Comment
You can share anything of you in here.